বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংস্কার চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয় যে বছরের পর বছর করে যাবেন। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এখন যতোটুকু করা যায় হবে, আবার নির্বাচিত সরকার এলে তারা করবেন। এটাই হওয়া উচিত।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পুড়ে যাওয়া ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ শিল্পকর্ম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশে যে মুক্ত বাতাস সৃষ্টি হয়েছে, তার মাধ্যমে আমরা প্রাণবন্ত গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে আসছি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
বিএনপির সিনিয়র এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এ দেশের জনগণ বহুদিন ধরে ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে আসছে। এই দাবি আদায়ের পথে গুম হয়েছেন ইলিয়াস আলী, সুমনসহ আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী। শেখ হাসিনা মানবিকতা ও ন্যায়বিচারের জায়গা ধ্বংস করে দিয়েছিল। আদালতকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পরিণত করা হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনো সংস্কৃতি বিকাশ সম্ভব নয়। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা সমৃদ্ধশালী হবে যেখানে গণতন্ত্র থাকবে। তখন কেউ আগুন দিয়ে কিছু পুড়িয়ে দেয় না, বরং সবাই মিলে কিছু নির্মাণ করে। এই মনোভাবই সংস্কৃতির প্রকৃত চেতনা।
চারুকলার শিল্পকর্মে আগুন দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধা ও পরিশ্রমের সঙ্গে দুর্দান্ত কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
এ সময় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, মীর শরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নদীবন্দর/জেএস