রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে একটি দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য দেশব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতি উন্নয়নের বড় অন্তরায়। সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করতে সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।’
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯ পেশ করা হলে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে কমিশন দুর্নীতিরোধে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ প্রতিবেদন পেশ করেন। এ সময় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এবং এ এফ এম আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। দুদক চেয়ারম্যান জানান, ২০১৯ সালে ২১ হাজারের অধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৮ শতাংশ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে এবং ১৭ শতাংশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে তিন হাজার ৪৯৭ কোটি টাকারও বেশি জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪৩৬ কোটি টাকার। এছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সম্পত্তি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান সরকারি কর্মকর্তাদের সততা জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নবম গ্রেড থেকে উপরের কর্মকর্তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির সুপারিশ করেন। এছাড়া তিনি সিভিল সার্ভিস রিফর্মস কমিশন প্রতিষ্ঠারও সুপারিশ করেন।
দুর্নীতিরোধে কমিশন যে সমস্ত সুপারিশ পেশ করেন সেগুলো বাস্তবায়ন ও মনিটরিং এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন দুদক চেয়ারম্যান।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত রাষ্ট্রপতির কার্যালয় মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / এমকে