1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বিদায় বেলায় মা-ছেলের আবেগঘন মুহূর্ত - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর,ঢাকা
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

প্রায় চার মাস নিজের কাছে রেখে গুরুতর অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা চালিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় দেশে ফেরার মনস্থির করেন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। নির্ধারিত সময় মাকে বিদায় দেওয়ার জন্য নিজেই গাড়ি চালিয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় রাত ৭টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এরপর মাকে বিদায় জানান ছেলে।

মাকে দেশের পথে পাঠিয়ে দেওয়ার সময় ছেলের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। পাশে থাকা লোকজন সবাইকে হাসিখুশি দেখা যায়। মা তার সন্তানকে বিদায় বেলায় গালে আদর করে দেন। তারেক রহমানও মাকে বিদায় জানানোর মুহূর্তে জড়িয়ে ধরেন।

অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাকে ছেলের বিদায় দেওয়ার আবেগঘন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেছেন।

বেগম খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্য কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বাংলাদেশে আসছেন। সঙ্গে আছেন তার দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। এছাড়াও তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবু জাফর মো. জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও ডা. জাফর ইকবাল; বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, খালেদা জিয়ার সহকারী মাসুদুর রহমান, মিসেস দিলারা মালিক, তার দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই এতদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বিএনপির চেয়ারপাসন ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। এতে তাঁর বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম হয়।

নদীবন্দর/জেএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com