পাকিস্তানের বিমান হামলার আশঙ্কায় ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের আম্বালায় সাইরেন বেজে উঠেছে।
শুক্রবার (৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, হামলার আশঙ্কায় আম্বালায় ভারতের বিমান বাহিনী বিমান হামলার সতর্কতা জারি করেছে। শহরজুড়ে সাইরেন শোনা গেছে। নাগরিকদের ঘরের ভিতরে থাকতে এবং বারান্দা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত ব্যবস্থা হিসেবে জেলায় সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউটের নির্দেশ জারি করা হয়েছে, যা রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত থাকবে।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের বাতিল হয়েছে ভিসা। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতও করেছে ভারত।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
এরপর দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকির মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। যা রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করেছে। গত ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে অন্তত ১০০ জন নিহতের দাবি করে দিল্লি।
অন্যদিকে, ভারতের হামলার জাবাবে ওই দিনই সীমান্তে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে পাকিস্তান। এতে ৫০ ভারতীয় সেনা নিহতের দাবি করে ইসলামাবাদ। এ ছাড়া ৮ মে রাতে ভারতের বিভিন্ন শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান।
বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থার মধ্যেই হামলা চালালো ভারত। পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।
নদীবন্দর/এএস