1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
শাশুড়ির অত্যাচারে পুত্রবধূর আত্মহত্যা চেষ্টা, সইতে না পেরে নিজেকেই শেষ করেন পলাশ - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হাদির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে যা জানা গেল ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার আমার সবার ভবিষ্যৎ: প্রধান উপদেষ্টা ২৫ কোটি ২০ লাখ, আইপিএলের সবচেয়ে দামি বিদেশি খেলোয়ার গ্রিন ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না: প্রধান উপদেষ্টা ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা: শ্যুটার ফয়সালের সহযোগী গ্রেপ্তার পতাকা হাতে ৫৪ বাংলাদেশি প্যারাট্রুপারের বিশ্বরেকর্ড স্বাধীনতা বিরোধীদের চেষ্টা নস্যাৎ করে দেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিজয় দিব‌সের শুভেচ্ছা জানা‌লো যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-চীন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য খুলে দেওয়া হলো স্মৃতিসৌধ
নদীবন্দর,ফরিদপুর
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ৪৫ বার পঠিত

আলোচিত র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার আত্মহননের পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার স্ত্রীকে দায়ী করে দেওয়া হয়েছে একের পর স্ট্যাটাস। তবে ফরিদপুরে পলাশের শ্বশুরবাড়ি ও প্রতিবেশীরা জানালেন ভিন্নকথা। ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা ভরত সাহা (৬২)। তার ২০ বছর বয়সি একমাত্র কন্যা সুস্মিতা সাহার দুই বছর আগে বিয়ে হয় পলাশের সঙ্গে।

শুক্রবার বিকালে মেয়ে জামাইয়ের জন্য বিলাপ করছেন শ্বশুর ভরত সাহা। তিনি বলছেন, তার মেয়েকে অনেক ভালোবাসত পলাশ, নিজের হাতে খাইয়ে দিত, সময় পেলে বেড়াতে নিয়ে যেত, যেটা সহ্য হতো না পলাশের মায়ের।

কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমরা বড় লোকের সঙ্গে মেয়ে দিতে চাইনি, ছেলে অনেক শখ করে আমার মেয়েটাকে একরকম জোর করেই নিয়েছে। ছেলের আগ্রহ দেখেই আমরা শেষপর্যন্ত মেয়েটাকে দিয়েছি; কিন্তু আমার মেয়ে তার শাশুড়ির অত্যাচারে স্বামীকে বাঁচাতে পারল না। মেয়েটা আমার কয়েকবার আত্মহত্যা করতে গেছে, এখন আমি ভয় পাচ্ছি মেয়েটা নিজেকে না শেষ করে দেয়।’

সুস্মিতার চাচাতো ভাই ব্যাংকার পার্থ সাহা জানান, ১৮ বছর হওয়ার পর আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় পলাশ। পলাশের আগ্রহ দেখে আমরা বোনকে দেই; কিন্তু বিয়ের পর কোনোদিন ওদের বাড়ি আমরা যেতে পারিনি, সব সময় শুনতাম বোনটাকে ওরা যৌতুকের জন্য অত্যাচার করত; কিন্তু পলাশের কথা সব সময় শুনেছি ভালো, সে আমার বোনকে অনেক ভালোবাসত।

সুস্মিতাদের প্রতিবেশী গৃহবধূ দীপা সরকার জানালেন, তিন দিন আগে মোবাইল ফোনে কথা হয় তার সঙ্গে। সুস্মিতা বলেছিল ডাল রান্না খুব ভালো হওয়ায় তার প্রশংসা করেছিল পলাশ, সঙ্গে সঙ্গে খাবার টেবিলেই তার শাশুড়ি আরতি সাহা ডালের বাঁটি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। সেদিন রাতেই সুইসাইডের জন্য পদক্ষেপ নেয় সুস্মিতা। ফেসবুকে পোস্ট দেয়। সেই পোস্ট তার শাশুড়ি আরতি সাহার পিড়াপিড়িতে তুলে নিতে বাধ্য হয় সুস্মিতা। আত্মহত্যার দিন সকালে অফিসে আসার সময় পলাশ সুস্মিতাকে জানালা দিয়ে টাটা দিয়েছিল, সেটা নিয়েও শাশুড়ি আরতি সাহা আক্রমণ করে সুস্মিতাকে। তার কিছুক্ষণ পরেই নিজেকে শেষ করে দেয় পলাশ।

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় র‌্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা ‘আত্মহত্যা’ করেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় র‌্যাব-৭ এর নগরীর বহদ্দারহাট ক্যাম্পে নিজ অফিস কক্ষে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।

পলাশ সাহার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। পারিবারিক কলহের জেরে পলাশ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের। তার হাতে লেখা সুইসাইড নোটে লেখা আছে- ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কোঅর্ডিনেট করে।’

পলাশের ফুপাতো বোনের মেয়ে ভাগনি প্রিয়তা পূজা সাহা তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়ে লিখেন- পলাশের মৃত্যুর জন্য তার পরিবারের মানুষের দোষ সব থেকে বেশি।

নদীবন্দর/জেএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com