1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, ২০ দিনে গেল ১৩ প্রাণ - Nadibandar.com
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০১:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নদীবন্দর,কিশোরগঞ্জ
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ মে, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

টানা তাপদাহ শেষে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও বজ্রপাত যেন কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য হয়ে উঠেছে মৃত্যুর আশঙ্কা। রোববার (১১ মে) বিকেলে বজ্রপাতে জেলার ভৈরব ও কুলিয়ারচরে তিনজন নিহত এবং হোসেনপুরে একজন আহত হয়েছেন। গত ২০ দিনে বিভিন্ন উপজেলায় বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৩ জন।

রোববার নিহত তিনজন হলেন- ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের ফারুক মিয়া (৬৫) ও ফয়সাল মিয়া (২৮) এবং কুলিয়ারচর উপজেলার হাজারীনগরের কবির হোসেন (২৫)। আহত আবু বকর (৬০) হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ আকাশে কালো মেঘ জমে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি। নিহতরা এ সময় খোলা জায়গায় কাজ করছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উম্মে হাবিবা জুঁই বলেন, ‘দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।’

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসব মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন কৃষকসহ সাধারণ মানুষ। কারণ গত কয়েকদিনে জেলায় যেভাবে বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটছে, তা এর আগে দেখা যায়নি। এ মৌসুমে বৃষ্টি হলেই কোনো না কোনো উপজেলায় বজ্রপাতে ঘটছে প্রাণহানি।

নিকলী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মে মাসের শুরু থেকেই বজ্রপাতের প্রবণতা বেড়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গরমে বাষ্পীয় চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার পাশাপাশি মাঠে কাজ করা কৃষকদের আগাম সতর্কবার্তা ও নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ মে) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রী ও মিঠামইনে একজন কৃষক প্রাণ হারান। ৩০ এপ্রিল জেলার ইটনা উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের কাটটেংগুর হাওরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মোহাম্মদ অনোহল (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। ২৮ এপ্রিল একদিনেই কিশোরগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে তিন কৃষক, এক কৃষানি ও এক জেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

নিহতদের মধ্যে ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে খড় শুকাতে গিয়ে ফুলেছা বেগম (৬৫) এর দুই ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজিত দাস (৩৬) ও কলমা হাওরে ধান কাটার সময় স্বাধীন মিয়া (১৪) নামের দুই কৃষক নিহত হন।

একই দিন দুপুরে জেলার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুল করিম (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয় এবং ওই দিনই বিকেলে জেলার কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান মো. শাহজাহান (৪২) নামের এক জেলে।

২১ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মইশাকান্দা এলাকায় বজ্রপাতে আবু তাহের মিয়া (৫০) নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে গত ২০ দিনে এই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে ১৩ জন। তাদের বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ।

অনিশ্চয়তায় ভরা এই বজ্রপাতের মৌসুমে প্রয়োজন দ্রুত পদক্ষেপ ও গণসচেতনতা— এমনটাই বলছেন সচেতন নাগরিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ।

নদীবন্দর/ইপিটি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com