জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টানা আট ঘণ্টা ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নিয়ে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা আসেনি।
আজ বুধবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’তে প্রবেশ করেন ভিসি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। তবে সেখান থেকে এখনো কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আন্দোলন করছি। আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ এলে তাঁদের জন্য ঠান্ডা পানি ছিটানো হয়। আমাদের দাবি যৌক্তিক, তা মেনে নিতে হবে।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ‘আমরা মোড়ে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আমাদের ওপর গুলি করা হয়েছে। এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা আসেনি।’
আরেক শিক্ষার্থী তৈমুর মবিন বলেন, ‘আগামীকাল থেকে পুরান ঢাকার সব মোড় অবরোধ করা হবে। সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের দাবি মানতেই হবে, এখানে অন্য কোনো পথ নেই।’
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে আলোচনার জন্য যমুনায় যান ভিসি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন। দেড় ঘণ্টা পর আলোচনায় অংশ নিতে সেখানে যোগ দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন।
এরও আগে, দুপুর পৌনে ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রা গুলিস্তান মাজার গেট এলাকায় পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মৎস্য ভবনের সামনে আরও এক দফা বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা যমুনার দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। কাকরাইল মসজিদ মোড়ে পৌঁছাতেই পুলিশ অতর্কিতে টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি ছোড়ে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।
নদীবন্দর/জেএস