মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মিতু আক্তারকে (৩২) ধারাল বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী সুমন মিয়া।
সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরকাদিম পৌরাসভার পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভোর ৫টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে নিহতের স্বামী সুমন।
নিহত মিতু আক্তার পৌরসভার নৈয়দিঘীর পাথর গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রায় ৮ মাস আগে মিতু আক্তারকে বিয়ে করে অভিযুক্ত সুমন। নিহত মিতু আক্তারের আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তিন সন্তান রয়েছে। সুমনেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ, ঝগড়াঝাঁটি লেগেই ছিল।
কিছুদিন আগে ঝগড়া করে মিতু তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। গতকাল তার স্বামীর বন্ধুরা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। সেদিনই রাত ২টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে বন্ধুদের সহযোগিতায় স্ত্রী মিতুকে ধারাল বটি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ও গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বামী সুমন। পরে ভোরে স্বেচ্ছায় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, স্ত্রীকে হত্যা করে নিজেই থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা বিষয়টি অবগত করে আত্মসমর্পণ করে স্বামী সুমন মিয়া। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত সুমন মিয়া (৫০) মিরকাদিম পৌরসভার পূর্বপাড়ার শরিয়তউল্লা মিয়ার ছেলে ও একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
নদীবন্দর/জেএস