রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে গরম থেকে স্বস্তি মিললেও হঠাৎ আসা এ বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসায় ফেরা কর্মজীবী মানুষজন। অনেকে আবার এ বৃষ্টিতে আনন্দ উপভোগ করছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে সাড়ে ৪টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়, যা এখন চলমান।
এই বৃষ্টির ফলে মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে শুরু করে কালশী পর্যন্ত অনেক জায়গায় রাস্তায় পানি জমে গেছে। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক যাত্রী রিকশা ও বাস না পেয়ে ভিজেই রওনা হয়েছেন বাসার উদ্দেশে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতেও একই চিত্র। ধানমন্ডি-২৭ নম্বর সড়ক ও সাত মসজিদ রোডে বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় বসে পানি জমে গেছে।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে চাকরি করেন নিজাম। তিনি বলেন, ‘অফিস শেষ হয়েছে ৫টায়। সবকিছু গুছিয়ে বসে আছি বাসায় ফেরার আশায়।’
মিরপুর ১০ মেট্রোরেলের পাশে রিকশা রেখে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় আছেন রিকশাচালক মজিদ। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে দেখছি আকাশে একবার মেঘ, একবার বৃষ্টি। এ রকম পরিস্থিতিতে রিকশা নিয়ে বের হতে হতে দুপুর পার হলো। এখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে, রাস্তায় পানি। ভাড়াও ঠিক মতো পাইনি। তাই দুশ্চিন্তা নিয়ে এখানে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়।’
এদিকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা গেছে অনেকে। তারা বলছেন, এমন বৃষ্টিতে যদি ভিজতে না পারি তাহলো জীবনটা উপভোগ করা হবে না।’
মৌসুমি বায়ুর প্রভাব কি দেশে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই সময়ের বৃষ্টি মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নয়। এখনো দেশে মৌসুমি বায়ু আসেনি। এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে তা প্রাক বর্ষা মাসের। এটি স্বাভাবিক।’
এবার গ্রীষ্মে বৃষ্টিপাত বেশি হচ্ছে এজন্য কি বর্ষায় বৃষ্টি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না এমনটি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। আমাদের দেশে বর্ষাকাল শুরু হয় ১০ জুন থেকে ১৫ জুনের মধ্যে। তবে এবার বর্ষার বৃষ্টি একটু থেকে শুরু হতে পারে এবং ভারী বর্ষণও কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্তভাবে বলা সম্ভব নয়।’
নদীবন্দর/ এএস