কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ এক ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছেন। এ সময় ৫২ হাজার পিস ইয়াবাসহ একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে নিহত ইয়াবা কারবারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের সার্ভার রুমের সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম দ্বারা শাহপরীরদ্বীপ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে প্রায় ৭০০ গজ দক্ষিণে জালিয়াপাড়া বরাবর একটি নৌকা মিয়ানমার থেকে আসতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে ওই এলাকার বিশেষ টহল কমান্ডারকে বিষয়টি অবগত করার পর বিজিবির টহলদল জালিয়াপাড়া নৌকাঘাটে অবস্থান নেয়।
কিছুক্ষণ পর টহলদল দূর থেকে দুই জন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে নৌকায় শূন্যরেখা অতিক্রম করে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এতে একজন বিজিবি সদস্য আহত হন।
পরে নিজেদের জান-মাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে বিজিবি। গোলাগুলিতে একজন ইয়াবা কারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নৌকা থেকে পড়ে যান এবং অপর জন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরিয়ে শূন্যরেখা বরাবর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যায়।
গোলাগুলির শব্দ থামার পর নৌকাটি তল্লাশি করে ৫২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর আসে নদীর পাড়ে একটি লাশ পড়ে আছে। তখন বিজিবি সদস্যরা গুলিবিদ্ধ লাশ এবং একটি কার্তুজের খালী খোসা ওই ব্যক্তির পরিহিত কাপড়ের সাথে দেখে ধারণা করে বিজিবি টহল দলের সাথে সংঘটিত ইয়াবা কারবারীদের বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হওয়া ব্যক্তিই ইনি। মৃত ইয়াবা কারবারীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
বিজিবি কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় আহত বিজিবি সদস্যকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে