প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নামে দলীয় কার্যালয় নির্মানের জন্য জমি দেয়ার পরদিন মারা গেলেন চাঁদপুরের কচুয়ার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাঠান। কচুয়ার সফিবাদ গ্রামের অধিবাসী মৃত: জাহাঙ্গীর আলম পাঠান ২০১৩ সালে ১৬ সেপ্টেবর প্রধানমন্ত্রীর নামে দলীয় কার্যালয় স্থাপন করার জন্য ১.৫০ শতাংশ জমি দান করে অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। তিনি পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর সালে হৃদক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিষয়টি জানাজানি না হওয়ায় দীর্ঘদিন জমি দেয়ার বিষয়টি অজানা থেকে যায়।
মরহুম জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের ছেলে তাহসিন শাওন পাঠান জানান, আমার বাবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় নির্মানের জন্য ১.৫০ শতাংশ জমিটা দান করেছেন। ওই জমিতে প্রধানমন্ত্রীর নামে কার্যালয় স্থাপনের ইচ্ছে ছিল বাবার। বাবার শেষ ইচ্ছা পূরনে আমি প্রয়োজনে আরো জমি দেব। তবু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করা হোক এটা আমার পরিবারের দাবি। সে আরো জানান, উত্তর পালাখাল মোড় সংলগ্ন বাবার শেষ সম্বল জমিটি মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে দান করা হলেও আজও তা আমরা হস্তান্তর করতে পারেনি। আমি ও আমার পরিবার ওই জমিটির দলিল মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌছাতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাই।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান তৎকালীন সময়ে কচুয়া-সাচার গৌরিপুর সড়কের উত্তর পালাখাল আঞ্চলিক সড়কের পাশে ২৯নং পালাখাল মৌজা,এস.এ খতিয়ান-১২৫,বি.এস খতিয়ান-৭৯১,সি.এস/এস.এ দাগ নং- ৪৫৩ ও বি.এস নং- ১৯৩০ দাগে জমি দান করেন। যার দলিল নং- ৭১৬৪,তারিখ- ১৬.০৯.২০১৩ইং।
ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগ বলেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান একজন ত্যাগী ও আওয়ামী পরিবারের পরীক্ষিত নেতা ছিলেন। তিনি দলীয় কার্যালয় স্থাপনের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অত্যান্ত প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু ওই জমি বুঝিয়ে দিলে আমরা কার্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক জানান, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান ভাই একজন বড় মনের মানুষ ছিলেন। প্রকৃত পক্ষে জমি থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর নামে জমি দেয়ার মন কয়জনের আছে। তিনি জমি দান করে বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তাঁর দেয়া প্রধানমন্ত্রীর নামে রেখে যাওয়া জায়গায় সকলের সহযোগিতায় দলীয় কার্যালয় স্থাপন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম পাঠান প্রধানমন্ত্রীর জন্য যে জমি দান করেছেন তা অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তবে বর্তমানে ওই স্থানে স্থায়ী ভাবে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় নির্মান হলে একদিকে জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের শেষ ইচ্ছা পূরণ অন্যদিকে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল হবে। তাই ওই জায়গায় দলীয় কার্যালয় স্থাপন করতে জোরদাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নদী বন্দর / এমকে