কোনো দল বা গোষ্ঠির চাপে বিভ্রান্ত না হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জনগণের ওপর আস্থা রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।
শুক্রবার (২৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরহাদ মজহার লিখেছেন, ড. ইউনূস পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে ভুল করেছেন। পদত্যাগ করা হবে তার ব্যর্থতা, তার জন্য আত্মঘাতী। কোনো ব্যক্তি বা দল নয়, তার উচিত জনগণের ঐতিহাসিক অভিপ্রায়কে সম্মান করা, কোনো দল বা গোষ্ঠীর চাপে বিভ্রান্ত না হয়ে জনগণের ওপর আস্থা রাখা।
‘বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নয়, রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ড. ইউনূসকে নির্বাচিত করেছে। তাকে অবশ্যই খুনিদের বিচার করতে হবে, নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ণের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠন করবার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, কাছা খোলা বাজার ব্যবস্থার জবরদস্তি দ্বারা বৈশ্বিক করপোরেট দখলদারি কায়েমের বিপরীতে গণবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও কার্যকর করতে হবে। সর্বোপরি দিল্লি ও মিয়ানমারসহ শত্রুদেশের বিরুদ্ধে লড়ে জিতবার ক্ষমতাসম্পন্ন শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করতে হবে। কারণ, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজের দেশে যাবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং তাদের পুনর্বাসনের হিম্মত বাংলাদেশকেই অর্জন করতে হবে।’
তিনি আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের সৈনিকেরা এই দেশের সন্তান বাংলাদেশের জনগণের সামষ্টিক ইচ্ছা বা অভিপ্রায়ের সঙ্গে তারা অঙ্গাঙ্গি জড়িত। জনগণের স্বার্থ তাদেরও স্বার্থ। কারণ তারাও জনগণের অংশ – আমরা কেউই মঙ্গলগ্রহ থেকে আসিনি। এই সকল লক্ষ্য অর্জনের জন্য জনগণ চায় প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ড. ইউনূসের ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হোক। নির্বাচন অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে, কিন্তু কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে সেনাপ্রধান তার এখতিয়ারের বাইরে নির্বাচন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা লুটেরা ও মাফিয়া শ্রেণিকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর যুক্তি। গণ-অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী জনগণ তা মেনে নেবে না।
‘দেশকে বিভিন্ন শক্তির ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতার ময়দান ও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার দায় তখন সেনাপ্রধানের ওপর বর্তাবে। সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করবেন, জনগণ সেই আশাই করে।’
নদীবন্দর/জেএস