সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সচিবালয়ে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানিয়েছে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। আগামী ৩১ মের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।
বুধবার (২৮ মে) সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মচারীদের এক ঘণ্টার কর্মবিরতি চলবে। আর সারা দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও একই সময়ে কর্মবিরতি চলমান থাকবে।
এর আগে, সকালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, আন্দোলনরত সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবিসমূহ মন্ত্রিপরিষদ সচিব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন। তিনি দেশে ফেরার পরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ এর গেজেট জারি সৃষ্ট সংকট নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে ৭ জন সচিবের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি বৈঠক করেছেন বলেও জানান তিনি।
কর্মচারীদের সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের কাছে তুলে ধরেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব দাবির বিষয়টি তাকে জানাবেন।
ভূমি সচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তারা কর্মচারীদের কথা ও গতকালের আলোচনার বিষয়ে জানিয়েছেন। এখন এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। তাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন তিনি।’
ওই সময় সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সচিবদের বৈঠকের বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেই আন্দোলন বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী কিছু বিধান পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের চাকরি নিরাপত্তা ও পদোন্নতির বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা নিয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মচারীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছেন।
নদীবন্দর/জেএস