ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল কমে যাওয়ায় ও ভারী বৃষ্টি না থাকায় শেরপুরের বিভিন্ন নদ–নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে জেলার বড় চারটি নদ–নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমতে শুরু করেছে মৃগী নদীর পানিও।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, ভোগাই নদের পানি ১৯৫ সেন্টিমিটার ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৫৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ঝিনাইগাতীতে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি গতকাল সোমবার রাত থেকে কমতে শুরু করেছে।
নদীপাড়ের লোকজন জানায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় চেল্লাখালী, ভোগাই, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীতে ঢল নেমে আসা বন্ধ হয়েছে। ফলে পানি কমতে শুরু করেছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান বলেন, উজানে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় জেলার চারটি নদ–নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই। এখন পর্যন্ত বাঁধে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, আবহাওয়ার তথ্য আমরা দ্রুত নদী একাকার লোকজনের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। তাছাড়া বন্যায় এর আগেরবার যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাদেরকে নতুন ঘর তৈরিতে ঢেউটিন ও তাৎক্ষণিক শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এবারও আমাদের প্রস্তুতি আছে।
নদীবন্দর/জেএস