কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বসেছে পশুর হাট। সেখানকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তারই অংশ হিসেবে প্রতিটি পশুর হাটে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কন্ট্রোলরুম। এছাড়া ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। নগদ অর্থ উত্তোলন ও পরিবহনে ডিএমপির ‘মানি এস্কর্ট’ সেবা নেওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বসেছে ১৯টি অস্থায়ী পশুর হাট। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ১০টি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় নয়টি। প্রধান সড়কে কোনো হাট বসাতে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, প্রত্যেকটি হাটে পুলিশের কন্ট্রোল রুম এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। জাল টাকা শনাক্তে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ইলেকট্রিক মেশিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া অজ্ঞানপার্টির তৎপরতা রোধে রয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, পশুর হাট ও পশুবাহী যানবাহনে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হাট, জনসমাগম এবং লেনদেন বিবেচনায় প্রায় প্রতিটি হাট ও এর আশপাশে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, ঢাকামুখী পশু পরিবহণে চাঁদাবাজি রুখতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও নিয়মিত টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সড়কপথে নিরাপত্তা বিধানে র্যাবের টহল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি জানান, এ বছর অনলাইনে প্রচুর কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অনিয়ম ও প্রতারণা প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক ভার্চুয়াল জগতে নজরদারি করছে।
এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, কোরবানির পশুর হাটে আগত মহিলাদের উত্যক্ত করা বা হয়রানিরোধে মোবাইলকোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোরবানির হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে প্রচুর আর্থিক লেনদেন হয়। এক্ষেত্রে অসাধু চক্রের মাধ্যমে জাল টাকার ছড়াছড়ির আশঙ্কা থাকে। জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পশুর হাটগুলোর হাসিল ঘরে সিটি করপোরেশন/স্থানীয় সরকার নির্ধারিত হাসিল তালিকা আকারে প্রদর্শিত থাকতে হবে। নির্ধারিত হারের বেশি হাসিল নেওয়া প্রতিরোধে র্যাবের নজরদারি থাকবে।
এছাড়া এক হাটের গরু জোর করে অন্য হাটে নামানোসহ পশুর হাট কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি ঠেকাতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে বলে জানান এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।
নদীবন্দর/জেএস