সংযোগ সড়ক না থাকায় কোন কাজেই আসছে না গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শৈলদাহ নদীর উপর নির্মিত ডুমুরিয়া সেতু। যাতায়াতসহ কৃষি পণ্য আনা-নেয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে অন্তত ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। তবে এলজিইডি বলছে, সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া, বালাডাঙ্গা, লেবুতলা, তারাইলসহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষকে জেলা ও উপজেলা সদরে আসতে হয় শৈলদাহ নদী পার হয়ে। জন ভোগান্তি কমাতে ২০১২ সালে নির্মিত হয় ডুমুরিয়া সেতু। কিন্তু ৯ বছরেও সেতুর দুই পাশে নির্মিত হয়নি সংযোগ সড়ক।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি করা হয়েছে কিন্তু তাতে উঠতে-নামতে খুবই কষ্ট হচ্ছে আমাদের। স্কুল-কলেজ এবং বাজারে সব সময় আমাদের যেতে-আসতে হয় কিন্তু ব্রিজে উঠতে অনেক সুবিধা।
সংযোগ সড়ক না থাকায় ১০ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে জেলা ও উপজেলা সদর যাতায়াত করতে হচ্ছে। কৃষি পণ্য আনা-নেয়াসহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও শিক্ষার্থীদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, গর্ভবতী ও রোগীদের হাসপাতালে নিতে পারছিনা। দশ কিলোমিটার ঘুরে এপাড় থেকে ওপাড়ে যেতে হচ্ছে। সংযোগ সড়ক হলে কম করে হলেও ২০ থেকে ২৫টি গ্রামের সর্বস্তরের মানুষের গাড়ী-ভ্যান, রিক্সা, মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে সুবিধা হবে।
এলজিইডি বলছে, সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক বলেন, এপ্রোচের ডিজাইনের কাজও প্রায় শেষ। আমরা আশা করছি শীঘ্রই ফাইনাল ডিজাইন করে দরপত্রে যেতে পারবো।
এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ভোগান্তি কমাতে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
নদী বন্দর / পিকে