ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে দক্ষিণে সব ওয়ার্ডের কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ হয়েছে। আর উত্তরে শেষ হয়েছে ৮৫ শতাংশ। এর আগে দুপুরে ২০ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী মাঠে নামেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জানিয়েছে, দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ডেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) দুপুর পৌনে ২টায় এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উদ্বোধনের পর রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে দক্ষিণ সিটির সব ওয়ার্ডে বর্জ্য সরিয়ে ফেলা হয়।
এই ঈদে ডিএসসিসি এলাকায় মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি হয়। কোরবানির পর প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ করে তা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে নেওয়া হয়। এরপর ডাম্প ট্রাকে করে এগুলো পাঠানো হয় মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে।
এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য চূড়ান্তভাবে ডাম্প করা হয়েছে। লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার মেট্রিক টন।
এ বছর দক্ষিণ সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মাঠে ছিল ১০ হাজারের বেশি জনবল। ব্যবহার করা হয়েছে ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ ২০৭৯টি যানবাহন।
নগরবাসীর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ৪৫ টন ব্লিচিং পাউডার, ২০৭টি স্যাভলনের ৫ লিটারের গ্যালন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) জানিয়েছে, ৮৫ শতাংশ বর্জ্য ইতোমধ্যে সরানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, এখনও কিছু জায়গায় কোরবানি চলছে। সেগুলোর বর্জ্যও সরানো হবে।
তিনি বলেন, রাজধানীবাসী দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। আগামীকাল ও তার পরদিনও অপসারণ কার্যক্রম চলবে। কাল মূল সড়কগুলো পরিষ্কার করা হবে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোথাও ময়লা পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। তবে নতুন করে যদি কোথাও কোরবানি হয়, সেই বর্জ্যও দ্রুত সরানো হবে।
এর আগে, জানানো হয়েছিল– দুই সিটি করপোরেশন ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত রয়েছে। এ কাজে নিয়োজিত আছেন প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী। ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ড ও মহল্লায় তারা কাজ করছেন।
নদীবন্দর/জেএস