ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২৪২ আরোহীসহ লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার কিছু সময় পরই বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। ধারণা করা হচ্ছে এ দুর্ঘটনায় বিমানের কোনো যাত্রী বেঁচে নেই বলে জানিয়েছেন আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) কমিশনার জিএস মালিক বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।’
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাও নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে আরও সময় লাগবে।’
এদিকে, ইতোমধ্যে শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস। তবে এখন পর্যন্ত কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা সরকারিভাবে প্রকাশ করেনি প্রশাসন।
এর আগে, দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই অহমেদাবাদের মেঘানি নগর এলাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলে ভেঙে পড়ে ওই ফ্লাইটটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং আবাসিক এলাকার কাছে একটি কলেজের ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয়। এরপরই আগুন ধরে যায় পুরো উড়োজাহাজে। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের লোকজন দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন।
এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৩২ জন সাধারণ যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান ও সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মেঘানি এলাকার যে বহুতলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে থাকেন সিভিল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তার পাশের একটি বিল্ডিংয়ে থাকেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা। তারা সকলেই আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। এতে সেখানে থাকা ৫০ ইন্টার্ন চিকিৎসকেরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কত জন হতাহত হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে, অসমর্থিত একটি সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫ জন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নদীবন্দর/জেএস