দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত করা হয়েছে। ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮ জন। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে আক্রান্তদের কারও মৃত্যু হয়নি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনে। আর মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৫ জনে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। আর করোনা থেকে সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এদিকে, বুধবার (১১ জুন) দুপুরে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে ১১ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
নির্দেশনাগুলো হলো–
১. জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং উপস্থিত হতেই হলে সেক্ষত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন
২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন
৩. হাঁচি/কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন
৪. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন
৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না
৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করনীয়–
১. জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন
২. রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন
৩. রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করুন
৪. প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১-১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়নের (১৬২৬৩) নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
নদীবন্দর/জেএস