জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের হিলির চাষীরা। গেলো বর্ষায় টানা বৃষ্টির কারণে আগর আলুর আবাদ করতে পারেনি কৃষকেরা। আর যার প্রভাব পড়েছে আলুর বাজারে। কৃষকের আগর আলু বাজারে না উঠার কারণে, সবজির বাজারে আলুর দাম উঠেছিল কেজিতে ৫০ টাকা।
কার্তিক মাসের শুরুতে শুরু হয়েছে নমলা আলুর চাষ। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে কৃষকদের মোট খরচ হয় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। ৫০ থেকে ৫৫ দিনের মাথায় বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ মণ আলু ঘরে তুলবে কৃষকরা।
৪ গাড়ি (পাওয়ার টিলার) গোবর, ২০ কেজি পটাস, ১ বস্তা ফসফেট, ১৫ কেজি ডেব, ২০ কেজি জিব, ১ কেজি বরন,২ কেজি সালফার, ২ কেজি দানাদার ও ৪ কেজি ম্যাগনেসিয়াম মাটির সাথে মিশিয়ে জমি তৈরি করছেন আলু চাষীরা। আলুর বীজ রোপনের পর দুই পাশে মাটির আল বাঁধে পানি সেচ দিচ্ছেন তারা।
হিলি মাধবপাড়া গ্রামের আলু চাষী মুকুল হোসেন বলেন, এবার আমি চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করার জন্য জমি তৈরি করছি। জমিতে প্রয়োজনীয় সব সার প্রয়োগ করেছি। প্রতি বছর এই মৌসুমে ৪থেকে ৬ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে থাকি আমি। বাজারে আলুর ভাল দাম আছে। আশা করছি আলুর ভাল ফলন পাবো এবং ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাবো।
বিরামপুরের হাবিবপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, প্রতি বছর আমি আগর আলু চাষ করে থাকি। আর আগর আলু বাজারে নতুন উঠার কারণে দামও পাই ভাল। কিন্তু এবছর টানা বর্ষার কারণে আগর আলু লাগাতে পারিনি এবং আলু থেকে লাভবান হতে পারিনি। এখন নমলা আলুর চাষ শুরু করেছি। প্রতি বছর আমি সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে থাকি। এই আলুর মৌসুমে আশা করছি দাম ভাল পাবো।
বিরামপুর কৃষি অফিসার নিক্সোন চন্দ্র পাল জানান, আলুর মৌসুমে এইবার উপজেলায় মোট ১৬০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করবে কৃষকেরা। গতবারের চেয়ে এবছর আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে আলু চাষীরা।
হাকিমপুর (হিলি) কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে এইবার চাষীরা আগর আলু চাষ করতে পারেনি। তাই আলুর চাহিদা পুরন করতে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা আলু চাষে। এবছর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ৮৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করবে আলু চাষীরা। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের আলু চাষের জন্য সুপরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
নদী বন্দর/এসএম