গণফোরামের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মোস্তফা মোহসীন মন্টু ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (১৫ জুন) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তার জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গণফোরাম সভাপতির মৃত্যুতে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসছেন।
মোস্তফা মোহসীন মন্টুর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
ঢাকার রাজনীতিতে মোস্তফা মোহসীন মন্টু আলোচিত নাম। ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এই রাজনীতিবিদ ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যোগ দেন। ২০০৯ সালে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মন্টু আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৩ আসনে নির্বাচন করে ৬৬,২২০ ভোট পেয়ে বিএনপির প্রার্থী আমানউল্লাহ আমানের কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩ আসন থেকে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে ‘উদীয়মান সূর্য’ প্রতীকে এবং ঢাকা-৭ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
কয়েক বছর আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে ভাঙন সৃষ্টি হলেও গত বছরের শেষ দিকে আবার দলটি এক হয়। গত ৩০ নভেম্বর মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে গণফোরাম। আর ইমেরিটাস সভাপতি হন ড. কামাল হোসেন।
নদীবন্দর/জেএস