ইরানে টানা তৃতীয় দিনের মতো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় রোববার (১৫ জুন) বিকালের পর দেশটির রাজধানী তেহরানে নতুন করে বিস্ফারণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এই বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
তেহরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শাহরাক-ই-গারব এবং সাদাত আবাদ এলাকায় বিকট আকারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও তেহরানের উত্তরে নিয়াভারান এবং শহরের কেন্দ্রস্থলে ভ্যালিয়াসর এবং হাফতে তীর স্কোয়ারের আশেপাশেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইসফাহানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে, ওই হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসফাহানের নিরাপত্তা বিষয়ক ডেপুটি গভর্নর আকবর সালেহি হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করার জন্য তেহরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। এছাড়া বোমাবর্ষণ থেকে বাচঁতে তেহরানের ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশন, মসজিদ এবং স্কুলগুলো মানুষের আশ্রয়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, ‘আজ রাত থেকে মেট্রো এবং মসজিদগুলো নিরাপদ স্থান হিসেবে ২৪/৭ খোলা থাকবে, মানুষ নিরাপদ স্থান হিসেবে স্কুলেও যেতে পারে।’
এদিকে ইরানের সামরিক স্থাপনার আশেপাশের এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য সাধারণ ইরানিদের সতর্কবার্তা জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। শিগগিরই ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যেই এই সতর্কবার্তা এলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ফার্সি ভাষায় দেওয়া দেওয়া একটি পোস্টে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
পোস্টে আইডিএফ বলেছে, ‘সকল ইরানি নাগরিকের প্রতি জরুরি সতর্কতা। যারা (ইরানের) সামরিক অস্ত্র উৎপাদন কারখানা বা এতে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বা সেগুলোর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছেন, তাদের অবিলম্বে ওই এলাকাগুলো ছেড়ে যাওয়া উচিৎ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব স্থানে ফিরে আসবেন না।’
সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা
নদীবন্দর/এএস