দেশের আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তৈরি হওয়া লঘুচাপটি এখন ঘনীভূত হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশপাশে সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ু এবং উত্তাল উত্তর বঙ্গোপসাগরের কারণে দেশের আটটি বিভাগের অনেক জায়গায় আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। ফলে কিছু এলাকায় স্বস্তি আসলেও, কোথাও জলাবদ্ধতা ও ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত লঘুচাপটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর বর্ধিত অংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।
তিনি আরও জানান, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ বিহার থেকে শুরু হয়ে এই লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা প্রবল আকারে বিরাজ করছে।
এর ফলে বুধবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এসব অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) থেকে রোববার (২২ জুন) পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই আটটি বিভাগেই দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণও হতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনেও বৃষ্টির এই প্রবণতা বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বৃষ্টির এই ধারায় শহরাঞ্চলে পানি জমে থাকতে পারে, যা মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। একই সঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা পরামর্শ দিয়েছেন, এ সময় অপ্রয়োজনে বাইরে না যেতে এবং স্থানীয় আবহাওয়া অধিদফতরের নিয়মিত সতর্কবার্তা অনুসরণ করতে।
নদীবন্দর/জেএস