ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শুধু একটি কার্যক্রম নয়, এটি নাগরিক দায়িত্ব। খাল রক্ষায় স্থানীয় জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (২১ জুন) সকালে রাজধানীর আদাবরে রামচন্দ্রপুর খালের স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পরিচালিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিদর্শন শেষে প্রশাসক এ কথা বলেন।
রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনব্যাপী চলমান পরিচ্ছন্নতা অভিযানের সমাপনী দিনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের উৎসাহিত করেন।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, রামচন্দ্রপুর খালসহ নগরের সব খাল আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। ডিএনসিসি খাল রক্ষায় শুধু পরিচ্ছন্নতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না; দূষণ প্রতিরোধ, সৌন্দর্যবর্ধন এবং নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একটি টেকসই ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশন একা এই দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত না করলে এই খালগুলো আবারও দূষণের শিকার হবে। তাই প্রতিটি এলাকায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এমন উদ্যোগকে আমরা সম্প্রসারিত করব।
প্রশাসক আরও বলেন, খালের পাড়ে ডাস্টবিন স্থাপন, ওয়াকওয়ের রং করা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা জনগণের মাঝে বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে, এই শহর আমাদের, খাল আমাদের, আর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও আমাদের সবার।
পরিদর্শন শেষে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রামচন্দ্রপুরসহ রাজধানীর অন্যান্য খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
অভিযানের অংশ হিসেবে খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে রং করা হয়, ডাস্টবিন স্থাপন করা হয় এবং পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ডিএনসিসি বিশ্বাস করে, এ ধরনের যৌথ উদ্যোগ রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
রামচন্দ্রপুর খাল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফুটস্টেপ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্সের সহযোগিতায় পরিচালিত এই অভিযানে অংশ নেন তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ও ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবীরা এই উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং এই ধরনের কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
নদীবন্দর/জেএস