আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ‘পলাতক’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আমির হোসেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মামলার নথিপত্র বুঝে নিয়েছেন তিনি।
আমির হোসেন ২০০৯ থেকে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত স্পেশাল জজ আদালত-৮ এর বিশেষ প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে সকালে জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা মামলায় অভিযুক্ত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ১৬ জুন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেল এই দুই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন।
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসা ও অন্যান্য স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু গ্রেফতার করতে পারেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এই দুই আসামি ভারতে অবস্থান করে থাকতে পারেন। পরে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বহুল প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। সেই অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও প্রকাশিত হয়। তবে এরপরও আসামিরা হাজির না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দেন।
গত ১ জুন জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। সেদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম। যা সব গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা যায়।
এর আগে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।
নদীবন্দর/জেএস