২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭৮৫ জন ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (২৯ জুন) তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির উপপ্রধান সুসান শালাবি জানান, নিহতদের মধ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া শাখার খেলোয়াড় ও প্রশাসনিক কর্মীরা রয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই গাজায় এবং অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন অধিকৃত পশ্চিম তীরে।
শালাবি বলেন, নিহতদের মধ্যে ৪৩৭ জনই ফুটবল খেলোয়াড়, যার মধ্যে পশ্চিম তীরের ১৫ জন ছিলেন। তিনি আরও জানান, খেলোয়াড়দের নিবন্ধন রেকর্ড এবং গাজা শাখার তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব তৈরি করা হয়েছে। তবে শালাবি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ থাকা বহু মানুষ এবং ইসরায়েলি অবরোধ ও বিমান হামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় প্রবেশে বাধার কারণে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
খেলাধুলার অবকাঠামো নিয়েও শালাবি জানান, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ২৮৮টি ক্রীড়া স্থাপনা আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম ও ক্লাব ভবন। এসবের মধ্যে ২১টি স্থাপনা পশ্চিম তীর এলাকায় অবস্থিত।
তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনি ক্রীড়াকে টার্গেট করার অভিযোগ আনেন এবং গাজা ও পশ্চিম তীরে ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৫৬,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে, ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৮৬ জন ফিলিস্তিনি, জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নদীবন্দর/এএস