জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগেই নতুন সংবিধান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচার এবং মৌলিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে পঞ্চগড় চৌরঙ্গি মোড় এলাকায় টুনিহাট-পঞ্চগড় সড়কে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণকে এনসিপির পাশে থেকে সমর্থন জানাতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা যেভাবে একসাথে স্বাধীনতা ও মুক্তি এনেছি, সেভাবেই সেই স্বাধীনতা রক্ষা করব।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, পুশইন বন্ধ করুন। পুশইন না করে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিন। আমরা তাকে বিচারের আওতায় আনব। গত পঞ্চাশ বছরেও কোনো সরকার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। কোনোভাবেই এই পুশইন মেনে নেওয়া হবে না। দিন শেষে আমরা বাংলাদেশিরা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ছাত্র-জনতার যে জোয়ার তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে, তা গোটা দেশকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
এর আগে বিকেল ৬টায় পঞ্চগড় স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি জেলা জজ আদালত, আধুনিক সদর হাসপাতাল হয়ে চৌরঙ্গি মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে একটি ট্রাককে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ ও আতিক মোজাহিদ।
এর আগে, নীলফামারীর দেবীগঞ্জ উপজেলায় এনসিপির কার্যালয় পরিদর্শন ও পথসভা করেন নাহিদ ইসলাম। সেখান থেকে গাড়িবহর সহকারে বোদা হয়ে পঞ্চগড়ে প্রবেশ করেন তিনি।
পথসভায় সারজিস আলম বলেন, ভোট দেওয়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন—কারা সত্যিকারের জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। কোনো প্রতীক দেখে নয়, বিবেক দিয়ে ভোট দিন।
তিনি আরও বলেন, খুনি হাসিনা ফেরাউনের মতো একজন শাসক ছিলেন, আমরা তার পতন ঘটিয়েছি। আগামীতে যেন আর কোনো ফেরাউন ক্ষমতায় না আসতে পারে, সেই দায়িত্ব আমাদের।
পথসভা শেষে জেলার চারটি উপজেলার এনসিপি ও যুবশক্তির নেতাদের মঞ্চে পরিচয় করিয়ে দেন সারজিস আলম।
নদীবন্দর/ইপিটি