কুষ্টিয়া কুমারখালীতে দেড় বছরের শিশু কন্যাকে হত্যা করা হবে এমন হুমকি দিয়ে মাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে দেবরকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়াও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, গত মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুমারখালী থানায় একটি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভিকটিম ও আসামি সম্পর্কে আপন দেবর -ভাবি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. সোলাইমান শেখ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের স্বামী পদ্মানদীতে ট্রলারে কাজ করেন। গত সোমবার রাতে স্বামী কাজে গেলে দেবর ভাবির শয়নকক্ষে প্রবেশ করে এবং ভিকটিমকের দেড় বছর বয়সি শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিম তার স্বামীকে বিষয়টি বললে তিনি আপোষ-মীমাংসার কথা বলেন। পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে দেবরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
আজ দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ফোনে ভুক্তভূগী ওই নারীর মামা বলেন, ভাগ্নিকে নিয়ে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য এসেছি। তার দেড় বছরের এক বাচ্চা আছে। আসামি বাচ্চাকে জবাই করে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক খারাপ কাজ করেছে।
মামলার বাদী বলেন, মেয়েকে তার দেবর জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। উপযুক্ত শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছি।
তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ভুক্তভুগী ওই নারীর স্বামী ও অভিযুক্তের বড় ভাই।
জানতে চাইলে কুমারখালী থানার ওসি সোলাইমান শেখ বলেন, ভাবিকে তার সন্তান হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দেবরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলায় আসামিকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নদীবন্দর/জেএস