জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, মধ্য এশিয়ার টেরোরিস্ট হচ্ছে গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদি। আরেক টেরোরিস্ট হাসিনাকে প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা চেষ্টা করছে। হাসিনা নিজে টেরোরিস্ট এবং ছাত্রলীগও টেরোরিস্ট। টেরোরিস্টদের আশ্রয় দিয়ে ভারত ‘হাউস অব দ্য টেরোরিস্ট’-এ পরিণত হয়েছে।
হাসনাত আরও বলেন, বাংলাদেশের আকাশে আজ কালো মেঘের ঘনঘটা। দেশকে নিয়ে দেশে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারতে বসে হাসিনা জুলাই বিপ্লবীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মরা ভারত ও লন্ডনে বসে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ, আওয়ামী লীগ উইল নেভার কামব্যাক।
বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও দেশ গড়ার নতুন প্রত্যয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আকতার হোসেন, নাসির উদ্দীন পাটোয়ারি, ডাক্তার তাসনীম জারা, সারজিস আলম, সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান তারেক রেজা, শহীদ রাকিবের মা হাফিজা খাতুন ও শহীদ সাব্বিরের বাবা আমোদ আলী বক্তব্য দেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিচার ও সংস্কারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আমাদের যুদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের যুদ্ধ। আগে বিচার ও সংস্কার শেষ হোক, তারপর নির্বাচন হবে। নির্বাচিত সরকার বিচার ও সংস্কার করবে কি করবে না এই নিশ্চয়তার মধ্যে আমরা থাকতে চাই না। আমরা হাসিনার বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত হয়েই নির্বাচনে যেতে চাই। তাই গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাতে কেউ বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সে দিকে সজাগ থাকতে হবে।
সাংবাদিকদের বেতন দেওয়া হয় না বলে হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, দেশের বেশিরভাগ সাংবাদিকদের হাতে বুম ও পরিচয়পত্র ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় এলাকায় গিয়ে খেটে খাও।
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ পাখির মতো বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। তিনি বিএসএফকে একটি খুনি বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। এখনই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কার, হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার, নতুন সংবিধান রচনা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফিরব ইনশাল্লাহ।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সফর শেষে ঝিনাইদহে পৌঁছা্য় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর। পরে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপি নেতারা। এসময় হাজার হাজার উৎসুক জনতা হাত নেড়ে এনসিপি নেতাদের অভ্যর্থনা জানান।
নদীবন্দর/জেএস