উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কর্মক্ষম তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ, সুশিক্ষিত ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘এম্পাওয়ারিং ইয়াং পিপল টু ক্রিয়েট দ্য ফ্যামিলিজ দে ওয়ান্ট ইন এ ফেয়ার এন্ড হোপফুল ওয়ার্ল্ড’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে ড. ইউনূস উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, দক্ষ জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, জীবনমান এবং ক্ষমতায়নের ওপর নির্ভর করে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন। শুধু স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা কিংবা পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে পছন্দমতো সিদ্ধান্ত গ্রহণই যথেষ্ট নয়, টেকসই উন্নয়ন, উন্নত জীবন ব্যবস্থা এবং সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য প্রজন্মান্তরে ন্যায্যতা ও ন্যায়-নীতিবোধ ধরে রাখা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ছেলে-মেয়ের মাঝে কোনো বৈষম্য না করে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে সরকার পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং কৈশোরকালীন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে তরুণ প্রজন্মের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
একটি সুস্থ-সবল জাতি গড়ার এই কর্মযজ্ঞে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন সকলে মিলে বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেই।
প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র: বাসস
নদীবন্দর/এএস