ভোটের প্রতীক তালিকায় শাপলা না রাখার সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করতে গেলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি প্রতিনিধি দল।
রোববার (১৩ জুলাই) সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচন ভবনে আসেন এনসিপির পাঁচ সদস্যের দল। এরপর ১১টায় সিইসির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ১১টার দিকে এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ ৫ সদস্যর প্রতিনিধি বৈঠকে বসেন।
গত বুধবার (০৯ জুলাই) জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতীকের তফসিলে ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি, যা ওইদিনই আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য পাঠায়। তবে শাপলা প্রতীক তালিকায় রাখা হয়নি।
এর আগে গত ২২ জুন এনসিপি গত দলীয় নিবন্ধনের আবেদনে নিজেদের প্রতীক হিসেবে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখে শাপলাকে। এই প্রতীক তারা পাবেন এমন আশাবাদের কথাও জানান এনসিপি নেতারা। তবে নাগরিক ঐক্যও দলীয় প্রতীক হিসেবে কেটলির পরিবর্তে শাপলা দাবি করে। আবার তার আগে মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য ১৭ এপ্রিল একই প্রতীক চায়। এছাড়া দু’টি দলই শাপলা নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও করে ইসির সঙ্গে।
এছাড়া শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় এটি দলীয় প্রতীক হতে পারে কি না এটা নিয়েও বিতর্ক ওঠে। এরমধ্যে গত বুধবার নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ জানান, নতুন প্রস্তাবিত প্রতীক তালিকায় শাপলা রাখা হচ্ছে না। নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে আমাদের শিডিউলভুক্ত হচ্ছে না প্রতীকটি। আমরা নীতিগতভাবে এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো দল নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে যে প্রতীকগুলো থাকে সেখান থেকেই বরাদ্দ পায়। এক্ষেত্রে ইসির প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হয়ে এলেই প্রজ্ঞাপন জারি করবে কমিশন।
বর্তমানে ইসির তফসিলভুক্ত ৬৯টি প্রতীকের মধ্যে ৫০টি প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে রাজনৈতিক দলের জন্য। যার মধ্যে স্থগিত হওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও প্রতীক রয়েছে। অবশিষ্ট ১৯টি প্রতীক রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। তবে নতুন তালিকায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত হয়ে আসলে জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লাসহ প্রতীকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫টি।
নদীবন্দর/জেএস