1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার পরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল - Nadibandar.com
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন
নদীবন্দর, ঢাকা
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে এবং তা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আজকে যে প্রচার হচ্ছে, অপপ্রচার হচ্ছে, এর পেছনে কিন্তু একেবারে সুনির্দিষ্ট চক্রান্ত রয়েছে। সেই চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধবংস করে দেওয়া। সেই চক্রান্ত হচ্ছে, নেতা যিনি উঠে আসছে, যার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, সেই তারেক রহমান সাহেবকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া, তাকে খারাপ জায়গায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা।

রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি করেন। গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘তারেক রহমান: দ্যা হোপ অব বাংলাদেশ’ সংকলিত গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান হয়। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক সাহেবের কাছে এই নেতৃত্বটা এসেছে অনেক দিক দিয়ে। পারিবারিক দিক দিয়ে যে কথাটা আপনারা অনেকে বলেছেন, যদিও এই কথাটা শুনতে আমার ভালো লাগে না। কারণ যিনি নেতা আমার মনে হয় তাকে এতে কিছুটা খাটো করা হয়… তার যে নিজস্ব গুণ-সত্তাগুলো আছে সেটাকে পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত করে আমরা বোধহয় সেটাকে ছোট করে দিই। তারেক রহমান সাহেবের নিজস্ব গুণ আছে.. যে গুণগুলোর জন্য তিনি আজকে এই পর্যন্ত এসেছেন… না হলে আসতে পারতেন না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কেন বলছি আপনাদের এই কথাগুলো? আমার অভিজ্ঞতা, আমি বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছি একসঙ্গে.. তারেক রহমান সাহেব দায়িত্ব পাওয়ার পরে অর্থাৎ ম্যাডাম জেলে যাওয়ার পরে উনার সঙ্গে সরাসরি কাজ করছি। আমি দেখেছি যে, অসাধারণ একটা সাংগঠনিক দক্ষতা তার আছে। এটা খুব কম রাজনীতিবিদের মধ্যে আছে। অসাধারণ। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বিশাল একটা অংশকে সংগঠিত করে ফেলতে পারেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের গ্রামে একেবারে ওয়ার্ডে পৌঁছে গেছেন, সে কারণে তিনি সংগঠিত করে ফেলতে পারেন।’

ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির যে একটা বিশাল যুব সমাজ আছে… ছাত্র, যুবক শক্তি আছে এটাকে সংগঠিত করতে হবে। বিএনপির রাজনীতিটা তাদের মাথার মধ্যে ঢোকানোর চেষ্টা করতে হবে… এটা আমাদেরকেই করতে হবে। এই কথাটা এজন্য বলছি যে, আমরা গত সময়গুলোতে শুধু লড়াই করেছি। কিন্তু সেই লড়াইটাকে সমৃদ্ধ করবার জন্য যে জ্ঞানটা সেটা কিন্তু আমরা অনেকে অর্জন করতে পারিনি। আজ তা না হলে যে কথাগুলো আমাদের শুনতে হচ্ছে সেই কথাগুলো হয়ত শুনতে হতো না আমাদের।’

২০০২ সালে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চীন সফরের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমারও যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে প্রচণ্ড শীত ছিল, ডিসেম্বর মাস, বরফ পড়ছিল… বাইরে অনুষ্ঠান করা সম্ভব ছিল না। সেজন্য গ্রেট হলের ভেতরে ম্যাডামকে গার্ড অব অনার রিসিপশন দেওয়া হলো। ওই অনুষ্ঠানে গার্ড অব অনারের পরে ম্যাডাম চীনের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমরা যারা তার সাথে গিয়েছিলাম তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই পরিচয় পর্বে আমার মনে আছে আমার পাশেই ছিলেন আমান উল্লাহ আমান, তার পাশেই ছিলেন তারেক রহমান সাহেব। যখন উনার সামনে গিয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, মাই সান। প্রধানমন্ত্রী তার (তারেক রহমান) হাতটা শক্ত করে ধরে ঝাঁকি দিয়ে বললেন, কেরি দ্যা ফ্ল্যাগ অব ইউর ফাদার অ্যান্ড মাদার।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ফ্ল্যাগটা বহন করছেন দেখেই আজকে কিন্তু তারেক সাহেব, এই কথাটা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। উনি নির্যাতন সহ্য করেছেন, শারীরিক নির্যাতন সহ্য করেছেন, নির্বাসিত হয়েছেন, একা থেকেছেন.. এই যে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সব কিছু মিলিয়ে তারপরেও তারেক রহমান সাহেব মাথা নত করেননি তার মায়ের মতোই। উনার মা যেমন মাথা নত করেননি, তারেক সাহেবও করেননি।’

বিএনপির সমর্থিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগারদের বিগত আন্দোলনের তাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে সব সময়ে তাদের পাশে থাকার কথাও বলেন মির্জা ফখরুল।

নদীবন্দর/জেএস

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com