ঢাকার আকাশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ঢাকায় বিমান ঘাঁটি রাখা অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমোডোর শহিদুল ইসলাম।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে তেজগাঁওয়ের এভিয়েশন ইউনিভার্সিটির পুরাতন পিএসসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি দাবি করেন, বিশ্বের বহু দেশের রাজধানীতেও এমন ঘাঁটি রয়েছে। ঢাকা থেকে বিমান প্রশিক্ষণ ঘাঁটি সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকায় যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ ঘাঁটি স্থানান্তর করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শহিদুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধবিমান পরিচালনার জন্য ব্যাপক জায়গার প্রয়োজন। এছাড়া রাজধানীর আকাশ প্রতিরক্ষায় এই ঘাঁটির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অনেক দেশের রাজধানীতেও এমন ঘাঁটি রয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিমান বাহিনীর জরুরি সমন্বয়ক কেন্দ্রের এয়ার কমোডোর মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিস্তারিত তথ্য দেবেন। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাইলট তৌকিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।
মাইলস্টোন ক্যাম্পাসের দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকবে বিমানবাহিনী। প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। যাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর।
ওই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে যে ঢাকার মতো মতো জনবহুল জায়গায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ চলতে পারে কি-না।
বিধ্বস্ত এফ-৭ বিজিআই বিমানটি চীনের তৈরি। সেই কারণে তদন্তে সহায়তার জন্য চীনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বিমান বাহিনী জরুরি সমন্বয় কেন্দ্রের প্রধান।
নদীবন্দর/জেএস