1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ব্যারিস্টার আরমানকে টিএফআই সেলে রাখার বিষয়টি আমি জানতাম: মামুন - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চিড়িয়াখানার পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা নারীকে কামনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে: জয়া আহসান শাহরুখ-আমিরের রেকর্ড ভাঙলো নবাগত জুটির ‘সাইয়ারা’! সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে কাঁচাই খেয়ে ফেললেন আরেক সাপুড়ে উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট হাসিনাকে দেশে ফেরাতে আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা, ঢাকায় প্রশিক্ষণ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউরোপের আরও এক দেশ ৫ আগস্ট ঘিরে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলচ্চিত্রে আইন লঙ্ঘন ও মাদকদৃশ্য: তরুণ প্রজন্মের জন্য হুমকি
নদীবন্দর, ঢাকা
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
  • ৬ বার পঠিত

সাবেক আইজিপি ও র‍্যাবের প্রাক্তন মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, ব্যারিস্টার আরমানকে টিএফআই সেলে আটকে রাখার বিষয়ে তিনি জানতেন। চলতি বছরের ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দেওয়া পাঁচ পৃষ্ঠার এক জবানবন্দিতে তিনি এ তথ্য দেন।

সেখানে মামুন জানান, ব্যারিস্টার আরমানকে গোপনে আটক রাখা হয়। বিষয়টি তাকে জানিয়েছিলেন তৎকালীন র‍্যাবের ডিরেক্টর (ইন্টেলিজেন্স) সরওয়ার বিন কাশেম। এর আগেই র‍্যাবের ডিজি পদে দায়িত্ব নেওয়ার সময় তার পূর্বসূরি বেনজির আহমেদ তাকে আরমান সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন।

মামুন বলেন, এসব ঘটনা মূলত প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক সিদ্দিকির নির্দেশেই ঘটত। পুলিশের মহাপরিদর্শক হয়েও এসব বিষয়ে তাকে জানানো হতো না। কখনো কখনো এসব নির্দেশ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও আসত বলে তিনি শুনেছেন।

জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, র‍্যাবের বেশিরভাগ অভিযান পরিচালিত হতো গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য ও পরামর্শের ভিত্তিতে। এসব কাজে পুলিশ বা আইজিপির নির্দেশনা অনেক সময় উপেক্ষা করা হতো।

তিনি বলেন, র‍্যাবের ডিরেক্টর (ইন্টেলিজেন্স) হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা হলেন—সরওয়ার বিন কাশেম, খায়রুল ইসলাম এবং মশিউর রহমান। তাদের মাধ্যমে তিনি কিছু গুম ও গোপন আটকের তথ্য পেয়েছেন। তবে এসব বিষয়ে তিনি তদন্ত করেননি এবং কোনো ব্যবস্থা নেননি।

মামুন আরও বলেন, ব্যারিস্টার আরমানকে কখন, কীভাবে আটক করা হয়, সে বিষয়ে তিনি জানতেন না। তবে তাকে টিএফআই সেলে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেই আসে। বিষয়টি জানার পর তিনি তারিক সিদ্দিকির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পাননি।

এছাড়া র‍্যাবের একাধিক কর্মকর্তার নির্যাতন এবং গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টিও তার জবানবন্দিতে উঠে আসে। বিশেষ করে র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুম ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল বলে তিনি শুনেছেন। এই কর্মকর্তা র‍্যাবের মধ্যে ‘বিশেষ দক্ষ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যদিও তার সেই দক্ষতা ছিল অপেশাদার কাজে।

চৌধুরী মামুন স্বীকার করেন, র‍্যাবের যেসব কর্মকাণ্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, সেসব বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন। কিন্তু আইজিপি বা ডিজি র‍্যাব থাকা অবস্থায় তিনি এসবের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। কারণ এসব নির্দেশনা আসত সরাসরি গোয়েন্দা সংস্থা বা সামরিক উপদেষ্টার কাছ থেকে।

নদীবন্দর/ইপিটি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com