জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শুরু হচ্ছে ৯ দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালায় এ উৎসবের উদ্বোধন হবে। আয়োজন করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
উৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার এবং এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে সমসাময়িক নাটক।
উৎসবের প্রথম দিনে মঞ্চস্থ হবে ‘রি-রিভোল্ট’। এটি লিখেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন নায়লা আজাদ। নাটকটি পরিবেশন করবে নাট্যদল টিম কালারস। নাটকের বিষয়বস্তু সমাজের পরিবর্তন ও প্রতিরোধ।
১ আগস্ট থাকবে তীরন্দাজ রেপার্টরির ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা করেছেন দীপক সুমন। ২ আগস্ট পরিবেশিত হবে স্পন্দন থিয়েটার সার্কেলের ‘দেয়াল জানে সব’, নির্দেশনায় শাকিল আহমেদ সনেট। ৩ আগস্ট মঞ্চে উঠবে এথেরা দলের নাটক ‘দ্রোহের রক্ত কদম’। নির্দেশনায় থাকবেন ইরা আহমেদ। ৪ আগস্ট দর্শকরা দেখতে পাবেন ফোর্থ ওয়াল থিয়েটারের ‘৪০৪–ছ নাম খুঁজে পাওয়া যায় নি’। নির্দেশনা দিয়েছেন লাহুল মিয়া।
৫ আগস্ট মঞ্চস্থ হবে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযোজনা ‘এনিমেল ফার্ম’। নির্দেশনায় সাইদুর রহমান লিপন। ৬ আগস্ট অন্তর্যাত্রা দল পরিবেশন করবে ‘আর কত দিন’, নির্দেশনা দিয়েছেন খন্দকার রাকিবুল হক। ৭ আগস্ট মঞ্চে উঠবে ভৈরবীর নাটক ‘অগ্নি শ্রাবণ’। নির্দেশনা দিয়েছেন ইলিয়াস নবী ফয়সাল। একইদিনে পরিবেশিত হবে থিয়েটার ওয়েভের নাটক ‘মুখোমুখি’। নির্দেশনায় ধীমান চন্দ্র বর্মণ।
৮ আগস্ট উৎসবের শেষ দিন মঞ্চস্থ হবে প্রাচ্যনাটের নাটক ‘ব্যতিক্রম ও নিয়ম’। নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। এরপর পরিবেশিত হবে কাজী নওশাবা আহমেদের নির্দেশনায় ‘আগুনি’। নাটকটি পরিবেশন করবে টুগেদার উই ক্যান।
নাট্যোৎসবের প্রতিটি প্রদর্শনী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। আয়োজকরা জানিয়েছেন, দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা কোনো টিকিট লাগবে না।
নদীবন্দর/এএস