ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হয়ে রায়েরবাজার গণকবরে দাফন হওয়া মরদেহগুলো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একই সঙ্গে পরিচয় শনাক্ত হলে পরিবার চাইলে মরদেহ গ্রামে নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর রায়েরবাজার গণকবরস্থান পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এখানে ১০০ এর ওপরে জুলাই শহীদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তাদের অনেককে কিন্তু শনাক্ত করা যায়নি। এগুলো আমাদের চিন্তাভাবনায় আছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা এদের শনাক্ত করার ব্যবস্থা করব। এতদিন তাদের আত্মীয়-স্বজন অনেকেই কবর থেকে উঠানো হোক এটা রাজি হননি। এখন তারা রাজি হয়েছে।
‘যদি তারা সবাই রাজি থাকে তাহলে তাদের মরদেহগুলো আমরা ডিএনএ’র মাধ্যমে শনাক্ত করব। আর কেউ যদি এখান থেকে মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে চায় আমরা সেটাও অ্যালাউ করব। এই প্রক্রিয়ায় বেশিদিন সময় লাগবে না।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলাইয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের গণকবরের ইটগুলোও ভালো দেওয়া হচ্ছে না বলে আক্ষেপ করে তা প্রচার করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) সবচেয়ে বেশি বলবেন দুর্নীতির বিপক্ষে। আমাদের দেশে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি না কমালে কিছুই ঠিক হবে না। বিচার প্রক্রিয়া তো চলছে। আমার একটা অনুরোধ, দেশের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কবরের ইটগুলো ভালো দিচ্ছে না। এগুলো আপনারা একটু প্রচার করবেন।
নদীবন্দর/ইপিটি