নিবন্ধনের শর্ত পূরণের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৪৪ দলকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সময় শেষ হচ্ছে রোববার (৩ আগস্ট)। এদিন বিকেল ৫টার মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পেশ করতে হবে দলগুলোকে।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত ২২ জুন পর্যন্ত নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল এনসিপিসহ ১৪৪টি দল। তবে, প্রাথমিক বাছাইয়ে শর্ত পূরণ করতে পারেনি কোনো দলই। তাই সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৪৪টি দলকেই প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণে ১৫ দিন সময় দিয়েছিল ইসি। রোববার শেষ হচ্ছে বেঁধে দেওয়া সেই সময়।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এই প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়মকানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়ম-কানুনই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলি সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ দেয় ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে এ নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।
নদীবন্দর/জেএস