২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও দুই আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে সব অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
রোববার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ চিফ প্রসিকিউটর এই বক্তব্য দেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখা। তিনি ছিলেন এই সমস্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু বা নিউক্লিয়াস। অন্যান্য আসামিরা তার অধীনে থেকে বুঝতেন যে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার ওপরই তাদের নিরাপত্তা ও পুরস্কার নির্ভর করছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আজকের মামলাটির গত বছরের ১৬ আগস্ট তদন্ত শুরু হয়। ১২ মে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়। ১ জুন অপরাধ আমলে গ্রহণ করা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয় ১০ জুলাই। আজকে মামলাটি সূচনা বক্তব্যের জন্য রয়েছে। সেটি উপস্থাপন করছি।
এর আগে, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ট্রাইব্যুনালে বলেন, আসামিদের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং মামলায় ‘অ্যাপ্রুভাল’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে সম্মত হয়েছেন।
মামলার বিচারিক কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এবং এতে আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
এদিন ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। অন্য দুই বিচারক হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
নদীবন্দর/ইপিটি