খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকায় এক যুবককে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার খানাবাড়ি সড়ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করার তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
আল আমিন নামের ২৮ বছরের এ যুবক মহেশ্বরপাশা দিঘির পূর্বপাড় এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ঘের ব্যবসায়ী ছিলেন।
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, খানাবাড়ি সড়কে একটি মোটরসাইকেল এবং গলা কাটা অবস্থায় এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবককে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ধারলো অস্ত্র দিয়ে ওই যুবকের গলা কাটা হয়েছে। মাথাটি শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।
তিনি বলেন, “মোটরসাইকেলটি তখনও চালু ছিল।”
খুলনা নগর পুলিশ-কেএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, “ধারণা করছি চলন্ত অবস্থায় আল আমিনের গতিরোধ করা হয়। এরপর তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর মাঝে সন্ত্রাসীরা গুলিও করে। আমরা ঘটনাস্থলে দুই রাউন্ড গুলি পেয়েছি।”
জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে, বলেন তিনি।
তার আগে শুক্রবার রাতে খুলনা নগরীর সবুজবাগ এলাকায় বাড়িতে ঢুকে মনোয়ার হোসেন টগর নামের ২৭ বছরের এক যুবককে হত্যা করা হয়। তিনি পেশায় একজন রঙের ঠিকাদার ছিলেন।
তার আগে ২২ জুলাই নগরীর নিরালা কাঁচাবাজারের পাশের এলাকায় ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী জাকির হোসেন (৫০) নিহত হন। ওই এলাকায় তার একটি দোকান এবং মশার কয়েল কোম্পানির ডিলারশিপ ছিল।
১১ জুলাই পশ্চিম মহেশ্বরপাশা এলাকায় বাসার সামনে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয় মাহবুবুর রহমান মোল্লা নামে এক যুবককে। ৩৮ বছরের এই যুবক দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন।
নদীবন্দর/জেএস