উন্নত এবং সুশৃঙ্খল জীবনের আশায় চতুর্থ দফায় ভাসানচর গেল আরো ২ হাজার ১২ জন রোহিঙ্গা। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্য যাত্রা করে। এ নিয়ে ৩ মাসে ভাসানচরে বসবাস শুরু হলো সাড়ে আট হাজারের বেশি রোহিঙ্গার।
সকাল ১০টায় লম্বা হুইসেল বাজিয়ে একে একে বোট ক্লাব ঘাট ছাড়ে নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ। ২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিয়ে বহুল আলোচিত নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে এই যাত্রা।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতেই এসব রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছিল। কোনো রকম চাপ নয়, উন্নত জীবনের হাতছানি এসব রোহিঙ্গাকে ভাসানচর যেতে আগ্রহী করে তুলেছে।
আগের ৩ বারে যাওয়া রোহিঙ্গারাই ভাসানচরে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের। এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করতে বাংলাদেশ সরকার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গড়ে তুলেছে উন্নত আবাসন ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে সেখানে চালু হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। কৃষি এবং হাতের কাজের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ।
এর আগে প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে এক হাজার ৬৪২ জন। দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জন এবং তৃতীয় দফায় গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তিন হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
নদী বন্দর / জিকে