আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভোট আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে সেই চিঠির অপেক্ষায় রয়েছে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আশা করছেন, শিগগির প্রধান উপদেষ্টার সেই চিঠি তারা পাবেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এই কথা বলেন।
সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর ইসি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা যে চিঠি দেওয়ার কথা বলেছেন, আমরা আশা করছি শিগগিরই তা পেয়ে যাব।
এ সময় তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগের যারা সমর্থক তারা ভোট দিতে পারবেন। কারণ কে কোন দলের তাদের মনের কথা তো আর আমরা বলতে পারব না। আমাদের মূল ফোকাস থাকবে ভোটার।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে না পারলে অপকর্ম করতে পারে, তাদের মোকাবেলা করতে আপনারা প্রস্তুত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তাদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছি।
ভোটের তারিখ থেকে মাস-দুয়েক আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্তরের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে কমিশন এক মাস সময় হাতে রাখছে।
কোনো ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নয়, বরং নিয়ম মেনেই নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিইসি।
নাসির উদ্দিন বলেন, ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কেনাকাটা সম্পন্ন করতে চায় ইসি। ১০ আগস্ট পর্যন্ত দাবি আপত্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে শুনানির মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত করা হবে।
মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করে সিইসি বলেন, নির্বাচনকে আয়নার মতো পরিষ্কার করতে মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে যেন কারও কোনো প্রশ্ন না থাকে, সে ব্যবস্থাই করা হবে।
নদীবন্দর/ইপিটি