করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ। দেশে টিকা কর্মসূচির অষ্টম দিনে তারা টিকা গ্রহণ করলেন।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে তারা টিকা গ্রহণ করেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে অনেক সমালোচনা করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে টিকা এনেছেন এবং দেশের সাধারণ মানুষসহ সবাই টিকা পাচ্ছেন।
সবাইকে টিকা নিয়ে দেশকে কোভিড মুক্ত করার আহ্বানও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মুস্তাফা কামাল উদ্দীন টিকা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় টিকা গ্রহণ করেন।
এই হাসপাতালে প্রতিদিন ১৮টি বুথের মাধ্যমে পুলিশ ও সাধারণ মানুষসহ ৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়।
এর আগে একই দিন সকালে জাতির জনক পরিবারের সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেন। এরপর তার স্ত্রী মাসুদা কবিরসহ পরিবারের ২৪ জন সদস্য টিকা গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, টিকা নিতে ১১ মাস ২ দিন পর ঘর থেকে বের হলাম। টিকা নেয়ার সুই দেখে ভয় পেতাম। কিন্তু টিকা নিয়ে তেমন কিছু মনে হয়নি। এখন বরং মনে হচ্ছে আরো আগেই টিকা নেয়া দরকার ছিল। সবারই টিকা নেওয়া উচিত, বিশেষ করে বয়স্কদের।’
টিকা নিতে প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দিয়েছিলেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই বলেন, টিকা নেয়নি বলে প্রধানমন্ত্রী কিছুটা মনোক্ষুণ্ন হন। তিনি কিছুটা রাগও করলেন।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘কেন নেন নাই! শিগগিরই ভ্যাকসিন নেন। আপনার বয়স তো অনেক বেশি। তাড়াতাড়ি নেন।’
এদিকে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে- এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন এবং নারী ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৪ জন। এ ছাড়া সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে মোট ৪২৬ জনের মধ্যে।
নদী বন্দর / পিকে