ঢাকাকে ঘিরে বৃত্তাকার অত্যাধুনিক রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এর আওতায় নির্মাণ করা হবে ৭০ কিলোমিটার উড়াল ও ১০ কিলোমিটার পাতাল রেললাইন, এর মাধ্যমে পাতাল রেলের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা। বাস্তবায়ন হলে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের প্রত্যাশা রেলমন্ত্রীর।
যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে নানামুখী প্রচেষ্টার শেষ নেই। তার সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকারে উড়াল রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজও শেষ করেছে তারা। সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিশদ নকশা অনুযায়ী ঢাকার চারপাশকে বেষ্টন করে বৃত্তাকারে ৭০ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। রেলপথটি টঙ্গি থেকে গাবতলী হয়ে কামরাঙ্গীর চর, নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া পূর্বাচল সড়ক হয়ে পুনরায় টঙ্গিকে সংযুক্ত করবে। নির্মাণ করা হবে ২১টি উড়াল স্টেশন। জমি সংকটের কারণে প্রায় ১০ কিলোমিটার লাইন হবে মাটির নিচে, থাকবে তিনটি পাতাল স্টেশনও।
বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পের পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার শহরের চতুর্দিকে প্রত্যেকটা রুটের সঙ্গে সমন্বিত যাতায়াত ব্যবস্থার নিশ্চিত করা হবে।
স্টেশনগুলো নৌপথ, মেট্রোরেল ও সড়কপথকে সংযুক্ত করবে। এর ডিপো হবে ডেমরায়। উত্তরা আর কামরাঙ্গীর চরে হবে বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন। ডুয়েল গেজ ডবল লাইনের এই পথে ট্রেন চলবে বিদ্যুতে, যার গতি হবে ১২০ কিলোমিটার। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা।
রেলমন্ত্রী নরুল ইসলাম সুজন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ইতিমধ্যে এমএমও হয়েছে। এটা বাস্তাবায়নে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে।
আগামী বছর পুরোদমে কাজ শুরুর লক্ষ্যে এগোচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দূর হবে ঢাকা শহরের যানজট। একই সঙ্গে যাতায়াত সহজ এবং সময় বাঁচবে।
২০২২ সালে কাজ শুরু হলে ২০২৮ সালে প্রকল্পটি সমাপ্ত হবে বলে আশা রেলমন্ত্রীর।
নদী বন্দর / পিকে