গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রাবিউল ইসলাম বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ৫-৬ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে।
পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদশা নামের এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করছিল। সেই সময় সাংবাদিক তুহিন মোবাইল ফোনে ওই দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। তখন দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে ধাওয়া করে এবং নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও সহকর্মী সাংবাদিকরা। শুক্রবার সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
নিহতের বড় ভাই সেলিম বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছি। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এখন তুহিনের দুই ছেলেই ছোট, আমরা গরিব পরিবার। আমার পক্ষে ওদের দেখাশোনা করা কষ্টকর।’
এদিকে, যেখানে সাংবাদিক তুহিনকে হত্যা করা হয়েছিল, তার পাশেই চান্দনা চৌরাস্তা ঈদগাহ ময়দানে শুক্রবার তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টির পানিতে ঘটনাস্থল থেকে তুহিনের ছোপ ছোপ রক্ত মুছে গেলেও, তার অকাল মৃত্যু গভীর শোকের ছাপ রেখে গেছে নিষ্পাপ দুই সন্তান ও সহকর্মীদের মনে। তার মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না।
নদীবন্দর/জেএস