ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৩৩০ জনে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মধ্যে ২০১ জন মারা গেছেন ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে।
মন্ত্রণালয়ের দৈনিক হালনাগাদ তথ্যে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ৭২ জনের মরদেহ এসেছে এবং আহত হয়েছেন ৩১৪ জন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন, যার ফলে এ ধরনের মৃত্যুর মোট সংখ্যা ২০১ হয়েছে। এদের মধ্যে ৯৮ জনই শিশু। মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, এখনও বহু হতাহত ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় পড়ে আছেন। কিন্তু ইসরায়েলের তীব্র বোমাবর্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে জরুরি পরিষেবা ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।
মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এমন ঘটনায় ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ২৭ মে থেকে বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এ ধরনের ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ হাজার ২৪৯ জন।
গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি সেনারা আবারও গাজায় হামলা শুরু করে। এই সময়ে তারা ৯ হাজার ৮২৪ জনকে হত্যা করেছে এবং ৪০ হাজার ৩১৮ জনকে আহত করেছে। এই হামলার মধ্য দিয়ে জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যত ভেঙে যায়।
এরই মধ্যে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েল গণহত্যার মামলার মুখোমুখি রয়েছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
নদীবন্দর/এএস