1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
নোয়াখালীর ১৭৭ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পানি, ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম - Nadibandar.com
শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
নদীবন্দর, নোয়াখালী
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নোয়াখালীতে ১৭৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এক মাসের বেশি সময় ডুবে রয়েছে জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনও রয়ে গেছে। এতে তাদের উপস্থিতি কম হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এতে ওই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা অভিভাবকদের।

বিদ্যালয়ের আঙিনায় পানি থাকায় কমতে থাকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। এক মাসের বেশি সময় পার হলেও পানি না কমায় অনিশ্চয়তায় পড়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসে হাতে গোনা শিক্ষার্থী। পানি মাড়িয়ে চলতে গিয়ে প্রতিদিন ভিজে নষ্ট হয় শিশুদের জামাকাপড়। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কাও বেড়েছে শিশুদের।

শিক্ষকেরাও বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ও মাঠে দীর্ঘদিন পানি থাকায় বিদ্যালয়ে আসতে বিপাকে পড়ছেন। কয়েকটি বিদ্যালয়ে পানি পার হয়ে শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এটি পিচ্ছিল থাকায় শিশুশিক্ষার্থীরা অনেক সময় পা পিছলে পড়ে যায়।

অভিভাবকেরা বিদ্যালয় আঙিনা থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের মাঠ উঁচু করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বেগমগঞ্জ উপজেলার মধ্য করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুল মাঠে পানি জমে আছে দীর্ঘদিন ধরে। পানির কারণে গত মাসের বেশির ভাগ সময় আমার অনেক সহপাঠী বিদ্যালয়ে আসতে পারেনি। মাঠে পানি থাকায় আমাদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে।

চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিদ্যালয়ের পুরো মাঠে পানি। এতে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে জামাকাপড় ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।

এক শিশুশিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের আঙিনায় পানি থাকায় বাচ্চাকে নিয়মিত স্কুলে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আগে সে (মাকসুদা) একাই বিদ্যালয়ে আসত, কিন্তু মাঠে পানি ওঠার পর থেকে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হয়। এভাবে অনিয়মিত হলে বাচ্চাদের লেখাপড়ার ভীষণ ক্ষতি হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে চলতি বছরের জলাবদ্ধতায় বিদ্যালয়ের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হলেও জলজটের কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় অনেক সমস্যা হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। চলতি বছরে এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে জেলার সদরের ৯টি, সোনাইমুড়ীর ৩৪টি, কোম্পানীগঞ্জের ১৭টি, বেগমগঞ্জের ৮১টি, সেনবাগের ৯টি, কবিরহাটের ২২টি ও সুবর্ণচর উপজেলার ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে কথা হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবীব বলেন, আশপাশের এলাকাগুলোতে পানি থাকায় অনেক বিদ্যালয়ের আঙিনা ও মাঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু, সেগুলো ভরাটের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নদীবন্দর/ইপিটি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com