রোজার আগে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান। এর আগে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
সিইসি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর জোর দিচ্ছি। নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সজাগ থাকবে। তবে কোনো ঘটনা ঘটলে তদন্তসাপেক্ষে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ সময় তিনি জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যাবতীয় সবকিছু নির্বাচন কমিশন করবে।
নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে কাদের কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে কাজ করছে কমিশন। সময়তো বিষয়টি দৃশ্যমান হবে।
এর আগে সকালে রংপুরে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি জানান, নির্বাচনের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
সিইসি বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আমরা চাই যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে মানুষ পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ভুলে গেছে। তাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াই নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আর এই সচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাই, পরামর্শ চাই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন সিস্টেমের প্রতি, নির্বাচন কমিশনের প্রতি এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রশাসন মিলে যে একটা ভালো নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
নদীবন্দর/জেএস