ছোট দলগুলো জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও এখন থেকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে—এমন বিধানসহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৯২ সংশোধন অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১১ আগস্ট) কমিশনের নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, এককভাবে দলীয়ভাবে নির্বাচন করবে, নাকি জোটবদ্ধভাবে করবে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাধীনতা। যে প্রস্তাব সংস্কার কমিশন দিয়েছে, সেটি কমিশনও গ্রহণ করেছে। সেটি হলো—জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও রাজনৈতিক দলসমূহ তাদের নিজস্ব সংরক্ষিত প্রতীক ব্যবহার করবে; অন্য কোনো একক প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করবে না।
এআই-এর অপব্যবহার রোধ এবং ভুয়া তথ্য (মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন) শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা একটি বৈশ্বিক সমস্যা, শুধু বাংলাদেশের নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে কমিশনের পক্ষ থেকে পৃথিবীর অন্তত ২০টি ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডির সঙ্গে বৈঠক করেছি। সবারই একই উদ্বেগ।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে কৌশল নিয়ে কাজ করছি, গতকাল আইএফএস আমাদের একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। আমরা একটি স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছি—কিভাবে ভালো তথ্য দিয়ে খারাপ তথ্যকে দুর্বল করা যায়। কারণ, আপনি খারাপ তথ্য পুরোপুরি থামাতে পারবেন না। পৃথিবীজুড়ে স্বাভাবিকভাবে মাত্র ৫০ শতাংশ উৎস ট্রেস করা যায়। দেশের ভেতর থেকে যাকে ট্রেস করতে পারব না, তাকে আইনের আওতায় এনে জবাবদিহিতায় আনা সম্ভব নয়। তখন উপায় থাকে দুটো—একটি হলো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া, অন্যটি হলো ভালো তথ্য দিয়ে খারাপ তথ্যকে পরাস্ত করা।
গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের সহায়তা আমাদের ভীষণভাবে প্রয়োজন। আমরাও কৌশল প্রণয়ন করছি এবং আপনাদের নিয়ে একটি কর্মশালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নদীবন্দর/ইপিটি