জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে গণনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরাটা সময় থাকতে হবে। মাঝপথে বের হয়ে যাওয়া যাবে না।
সোমবার কমিশন সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা ভোটের নির্বাচন হওয়ার পথ বন্ধ করতে না ভোটের বিধান চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, “যদি কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকে, তাকে বিনা ভোটে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে না। কোনো আসনে যদি একজন প্রার্থী হয় তাহলে তাকেও নির্বাচনে যেতে হবে। তার বিপক্ষ ‘না’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সেখানে যদি পুনরায় না বিজিত হয় তাহলে আর ভোট হবে না। তখন ব্যক্তি প্রার্থী বিবেচিত হবে”।
সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও বাতিল নিয়ে যে বিধানগুলো ছিল, পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করার বা ফলাফল বাতিল করার যে সক্ষমতা সীমিত করা হয়েছিল, সেটা পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। ইসি অবস্থা বুঝে এক বা একাধিক কেন্দ্র বা পুরো আসনের ফলাফল বাতিল করতে পারবে।”
জাতীয় নির্বাচনে এক আসনে দুজন প্রার্থী সমান ভোট পেলে আগে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করার বিধান ছিল। কমিশন সেখান থেকে সরে এসেছে। “এক্ষেত্রে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে লটারির বিধান রাখা উচিত বলে কমিশন মনে করে না।”, বলেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ।
অন্যদিকে নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যয়ের বিষয়টি আরো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আগে ব্যক্তি পর্যায়ে ১০ লাখ, প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ৫০ লাখ অনুদান নিতে পারতো। এখন সেটাকে ৫০ লাখ করা হয়েছে। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই লেনদেন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ট্যাক্স রিটার্নে এটা দেখাতে হবে।”
কমিশনার জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে ভোট করতে হলে প্রত্যেকটি দলকে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।
নদীবন্দর/ইপিটি