1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনে তেল পরিবহন শুরু আজ, বন্দরে সাশ্রয় ২২৬ কোটি টাকা - Nadibandar.com
শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন
নদীবন্দর,চট্টগ্রাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় সরাসরি জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য নির্মিত পাইপলাইন সফল প্রাক-কমিশনিংয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে আজ শনিবার। এর মধ্য দিয়ে দেশের জ্বালানি পরিবহন খাতে নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। আগে নৌপথে ঢাকায় তেল পৌঁছাতে সময় লাগতো ৪৮ ঘণ্টা। এখন পাইপলাইনে লাগবে মাত্র ১২ ঘণ্টা।

বছরে সাশ্রয় হবে ২২৬ কোটি টাকা। বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আজ সকালে চট্টগ্রামের গুপ্তখালে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডেসপাস টার্মিনালে উদ্বোধনী কার্যক্রমে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের প্রধান মেজর জেনারেল মুহাম্মদ হাসান-উজ-জামান উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে একনেকে অনুমোদন পাওয়া ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। করোনা পরিস্থিতিতে সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের মার্চে কাজ শেষ হয়, খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। প্রকল্পে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২৪১.২৮ কিলোমিটার এবং গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি ব্যাসের ৮.২৯ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। ২২টি নদী ও খাল পেরিয়ে যাওয়া এ ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ নেটওয়ার্কে মোট ৯টি স্টেশন এবং ২৮৬.৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পথে কুমিল্লার মোগবাড়ীতে আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় ডিপো, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পদ্মা ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের রিজার্ভার এবং ফতুল্লায় যমুনা ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের রিজার্ভার নির্মাণ করা হয়েছে।

পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানির প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. আমিনুল হক জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষামূলক পরিবহনে কোনো সিস্টেম লস ছাড়াই প্রায় ৫ কোটি লিটার ডিজেল সরবরাহ করা হয়। পাইপলাইনের বার্ষিক পরিবহন ক্ষমতা ২.৭ থেকে ৩ মিলিয়ন মেট্রিকটন, যা ভবিষ্যতে ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব। বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫০ মেট্রিক টন তেল পরিবহন সম্ভব।

আগে নৌপথে তেল পরিবহনে মাসে ১১০টিরও বেশি ট্যাংকার ব্যবহার হতো, বিপিসির বার্ষিক খরচ হতো প্রায় ৩২৬ কোটি টাকা। পাইপলাইন চালুর পর খরচ নেমে আসবে ৯০ কোটি টাকায়। বছরে সাশ্রয় হবে অন্তত ২২৬ কোটি টাকা। এছাড়া সিস্টেম লস ও চুরি রোধ করেও খরচ কমবে। পাইপলাইনের নিরাপত্তা ও কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকায় জ্বালানি সরবরাহের প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণ করা হবে।

নদীবন্দর/জেএস

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com